৪ দশকে এই প্রথম, অধিকারী পরিবারের কাউকেই টিকিট দিল না বিজেপি


কলকাতাঃ কাঁথি মানেই অধিকারী পরিবারের গড়। বিগত প্রায় ৪ দশক ধরে অধিকারী পরিবারের প্রতিটি পুরুষই নির্বাচনের টিকিট পেয়ে আসছিলেন। শিশির অধিকারী, দিব্যেন্দু অধিকারী, শুভেন্দু অধিকারী ও সৌমেন্দু অধিকারী সবাই শীর্ষস্থানে পদাসিন ছিলেন। কিন্তু এবারের পুরসভা নির্বাচনে অধিকারী পরিবারের কাউকেই টিকিট দেয়নি বিজেপি।

বিজেপির নীতি অনুযায়ী, একটি পরিবারের একজনকেই তাঁরা টিকিট দেয়। এমনকি নরেন্দ্র মোদীর আত্মীয় হওয়ার কারণে আহমেদাবাদ পুরসভায় টিকিট পেয়েছিলেন না প্রধানমন্ত্রীর ভাইজি।সেই ধারাই বজায় রইল কাঁথিতেও। এবার শিশির অধিকারী বা সৌমেন্দু ও শুভেন্দু অধিকারী কাউকেই টিকিট দেয়নি বিজেপি। অন্যদিকে দিব্যেন্দু অধিকারী এখনও তৃণমূলের সাংসদ, তাই তাকে বিজেপির তরফ থেকে টিকিট দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।

অমিত শাহ, নরেন্দ্র মোদী এবং বাংলার বিরোধী দলনেতা বারবারই এই পরিবার তন্ত্রের বিরুদ্ধে সরব হয়ে উঠেছেন। বিশেষ করে শুভেন্দু অধিকারী বারবারই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই নিয়ে আক্রমণ করে এসেছেন। যদিও, তৃণমূলেও এক ব্যক্তি এক পদ নীতি চালু হয়েছে। তবুও, পুরনির্বাচনে জেলাগুলো ছাড়া কোথাও সেই নীতি লাগু করতে দেখা যায়নি তৃণমূলকে।

অন্যদিকে, সোমবার জেলা ভিত্তিক পুরসভার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে গেরুয়া শিবির। সেই তালিকায় কাঁথি পুরসভায় অধিকারী পরিবারের কাউকেই প্রার্থী করেনি বিজেপি। শিশির অধিকারীর অনেক বয়স হয়েছে, সেই কারণে ওনাকে যে টিকিট দেওয়া হত না, সেটা প্রায় সবারই জানা ছিল।

অন্যদিকে, শুভেন্দু অধিকারী বিরোধী দলনেতা হওয়ার সুবাদে টিকিট পাননি। কিন্তু পরিবারের সবথেকে কনিষ্ঠতম সদস্য সৌমেন্দু অধিকারীকেও টিকিট দেয়নি বিজেপি। অধিকারী পরিবারের কাউকে টিকিট না দিয়ে বিজেপি এটাই বুঝিয়েছে যে, গেরুয়া শিবিরে পরিবারতন্ত্রকে কোনও মতেই প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।

The post ৪ দশকে এই প্রথম, অধিকারী পরিবারের কাউকেই টিকিট দিল না বিজেপি first appeared on India Rag .

from India Rag https://ift.tt/76F2Ljf

Comments

Popular posts from this blog

বড়ো খবর: মোবাইলে পর্ন ভিডিও দেখা ও শেয়ার করা নিয়ে মোদী সরকারের কড়া পদক্ষেপ।

কাশ্মীর থেকে বিতাড়িত হিন্দুদের বাড়ি ও ২১ লক্ষ টাকা দেওয়ার ঘোষণা মোদী সরকারের।

মহারান প্রতাপ: মহান হিন্দু সম্রাট যিনি আকবরের সেনাপতিকে ঘোড়া সহ দু-টুকরো করেছিলেন।