ভারত বিরোধিতা করা নেপালি প্রধানমন্ত্রী ওলির পতন নিশ্চিত! চীনও পারবে না রক্ষা করতে
কাঠমান্ডুঃ নেপালের (Nepal) প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির (KP Sharma Oli) ভারত (India) বিরোধী গতিবিধির কারণে বিপাকে প্রধানমন্ত্রীর পদ। ওলিকে ইস্তফা দেওয়ার চাপ সৃষ্টি করার মধ্যে ক্যাবিনেট এমার্জেন্সি মিটিং ডেকেছে। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, ওলি মধ্যরাতে চীনের রাজদূতের (Chinese Ambassador) সাথে সাক্ষাৎ করে সাহায্য চেয়েছিলেন, কিন্তু সেখানে ওনাকে হতাশ হতে হয়। এখন শোনা যাচ্ছে যে, দল ভাঙার থেকে বাঁচাতে ওলিকে অতিসত্বর ইস্তফার জন্য বাধ্য করা হবে।
ওলি আর ওনার ঘনিষ্ঠ মন্ত্রীদের মধ্যে বিগত কয়েক ঘণ্টা ধরে ম্যারাথন বৈঠক চলে। আর এরমধ্যে ক্যাবিনেটেরও এমার্জেন্সি বৈঠক শুদু হবে। যদি প্রধানমন্ত্রী ওলি ইস্তফা না দেয়, তাহলে ওনার উপর চাপ সৃষ্টি করতে মাওবাদী মন্ত্রী ইস্তফা দিতে পারেন। আরেকদিকে ওলির দলের স্থায়ী সমিতির ইস্তফার দাবি না মেনে সংসদীয় দলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা জোটানোর চেষ্টা চালাতে পারে। জানিয়ে দিই, ওলির দলের শীর্ষ নেতারা বলেছেন যে, প্রধানমন্ত্রীর ভারত বিরোধী গতিবিধি না রাজনৈতিক দিক থেকে ঠিক আর না কূটনৈতিক দিক থেকে।
প্রধানমন্ত্রী ওলির সরকারি আবাসে ক্ষমতায় থাকা দলের স্থায়ী সমতির বৈঠক শুরু হওয়ার সাথে সাথে ওলির দলের ওলি বিরোধী নেতা প্রচণ্ড প্রধানমন্ত্রীর ভারত বিরোধী মন্তব্য নিয়ে সমালোচনা করেন। উনি বলেন, ‘ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, ভারত ওনাকে পদ থেকে সরানোর জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। প্রধানমন্ত্রীর এই ভারত বিরোধী বয়ান, না রাজনৈতিক দিক থেকে সঠিক আর না কূটনৈতিক দিক থেকে।”
গুঞ্জন উঠেছে যে, চীনের উসকানির কারণে নেপালি প্রধানমন্ত্রী ওলি ভারত বিরোধী গতিবিধি চালাচ্ছে। যদিও এমনও শোনা যাচ্ছে যে, ওলির মুশকিল সময়ে চীনও ওলির মাথার উপর থেকে হাত সরিয়ে নিচ্ছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গতকাল রাতে চীনের রাজদূতকে প্রধানমন্ত্রীর আবাসে ডাকা হয়। সুত্র অনুযায়ী, চীনের রাজদূতও এবার হাত তুলে দিয়েছে। আর এখন দল ভাঙার থেকে বাঁচাতে ওলির ইস্তফাই একমাত্র বিকল্প রাস্তা। শোনা যাচ্ছে যে, ওলি যদি প্রধানমন্ত্রী পদ ছেড়ে দেয়, তাহলে হয়ত ওনার দলের সভাপতির পদ বেঁচে যেতে পারে।
from India Rag https://ift.tt/2ZneIWw
Comments
Post a Comment