হজের জন্য জমানো টাকা RSS এর তহবিলে অনুদান দিয়ে মানবতার নজির গড়লেন মুসলিম মহিলা

নয়া দিল্লীঃ করোনায় (corona) আক্রান্ত গোটা বিশ্ব। এই বৈশ্বিক মহামারীতে গোটা বিশ্বে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে হুহু করে। ইতালি, আমেরিকা, স্পেন আর জার্মানির মতো উন্নত দেশগুলোও করোনা নামের এই মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে ব্যর্থ। এখনো পর্যন্ত গোটা বিশ্বে ৩৩ হাজারের উপরে মানুষ এই মারক ভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছেন। আর সবথেকে চিন্তার বিষয় হল, এই মারক ভাইরাসের ওষুধ এখনো পর্যন্ত আবিস্কার করতে পারেনি কেউই।

করোনার কারণে এখন প্রায় গোটা বিশ্বেই চলছে লকডাউন। ভারতে তিন সপ্তাহের জন্য লকডাউন জারি করেছে সরকার। আরেকদিকে মুসলিমদের সবথেকে পবিত্র স্থান মক্কাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জম্মু কাশ্মীরের ৮৭ বছর বয়সী মহিলা খালিদা বেগম (Khalida Begum) অনেক বছর ধরেই হজে যাওয়ার জন্য টাকা জড় করছিলেন। তিনি এবারই ভেবেছিলেন হজে যাবেন। কিন্তু বাঁধ সাধল করোনা ভাইরাস। মক্কার দরজা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে এবারও ওনার যাওয়া হল না হজে।

কিন্তু হজের জন্য যেই টাকা তিনি জমিয়ে রেখেছিলেন, সেই টাকা হজের মতই পবিত্র কাজে ব্যবহার করলেন তিনি। রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের (RSS) শাখা সংগঠন সেবা ভারতীতে (Seva Bharati) তিনি ওনার জমানো পাঁচ লক্ষ টাকা দান করে দেন। তিনি জানান, সেবা ভারতী নানারকম সমাজসেবা মূলক কাজ করেন, আর ওনার এই হজের টাকা সমাজসেবার জন্য কাজে লাগলে উনি খুবই শান্তি পাবেন।

আরএসএস এর নেতা অরুণ আনন্দ সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ‘খালিদা বেগম চেয়েছেন ওনার এই জমানো টাকা সেবা ভারতীর মাধ্যমে সমাজ সেবার কাজে লাগুক। উনি চেয়েছিলেন কাশ্মীরের গরিব মানুষদের পাশে দাঁড়াতে, তাই ওনার স্বপ্ন পূরণ করে ওনার এই টাকা কাশ্মীরের গরিব মানুষদের কল্যানের কাজে ব্যবহার করা হবে।”

খালিদা বেগমের সাথে আরএসএস এর সম্পর্ক নিয়ে অরুণ আনন্দ বলেন, খালিদ বেগম প্রয়াত জনসঙ্ঘ সভাপতি পীর মহম্মদ খানের নাতনি। জনসঙ্ঘ আর আরএসএস এর সম্পর্কের সম্বন্ধ্যে সবাই অবগত। এই জনসঙ্ঘ থেকেই জন্ম হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টির।

 



from India Rag https://ift.tt/2JpX78N

Comments

Popular posts from this blog

বড়ো খবর: মোবাইলে পর্ন ভিডিও দেখা ও শেয়ার করা নিয়ে মোদী সরকারের কড়া পদক্ষেপ।

কাশ্মীর থেকে বিতাড়িত হিন্দুদের বাড়ি ও ২১ লক্ষ টাকা দেওয়ার ঘোষণা মোদী সরকারের।

মহারান প্রতাপ: মহান হিন্দু সম্রাট যিনি আকবরের সেনাপতিকে ঘোড়া সহ দু-টুকরো করেছিলেন।