দাঙ্গাবাজদের আর্থিক বহিষ্কার করার সিধান্ত নিল দিল্লীর হিন্দু সমাজ, সকলে নিল শপদ
কথায় বলে হাতে মারার থেকে ভাতে মারা বুদ্ধিমানের কাজ। দিল্লীর (Delhi) হিংসার পর এখন হিন্দু সমাজ সেই পথেই অগ্রসর হওয়ার সিধান্ত নিয়েছে। উত্তর পূর্ব দিল্লীতে যে হিংসা ছড়িয়ে ছিল তার বিস্তারিত এখন ধীরে ধীরে দেশের সামনে আসতে শুরু হয়েছে। কট্টরপন্থীরা উত্তরপূর্ব দিল্লীকে কাশ্মীরে পরিণত করার যে পরিকল্পনা করেছিল তাও পরিষ্কারভাবে সামনে আসছে। অবশ্য সরকারের সামান্য কঠোর রূপের কারণে পরিকল্পনা সম্পূর্ণ বাস্তবে পরিণত হতে পারেনি।
দিল্লীর হিংসার পর এখন দিল্লীবাসী বহু জায়গায় কট্টরপন্থী দাঙ্গাবাজদের আর্থিক বহিষ্কার করার সিধান্ত নিয়েছে। দিল্লী থেকে এখন বেশকিছু ভিডিও সামনে আসছে। যেখানে কিছু হিন্দু সংগঠন দাবি করেছে যে ব্যবসা ও বিশ্বাসঘাতকতা একসাথে চলতে পারে না। তাই এবার সমাজ দাঙ্গাবাজেদের আর্থিক বহিস্কার করার সিধান্ত নিয়েছেন।
#दंगाइयों_का_आर्थिक_बाहिष्कार
नोएडा में दंगाईयों के #आर्थिक_बहिष्कार की शपथ लेते आमजन.. pic.twitter.com/8kShtFqJXM— Sudarshan News (@SudarshanNewsTV) February 29, 2020
https://platform.twitter.com/widgets.js
প্রসঙ্গত জানিয়ে দি, এখানে আর্থিক বহিষ্কার করার অর্থ হলো কট্টরপন্থীদের দোকান থেকে কোনোকিছু না কেনা, তাদের ব্যবসায়ী কেন্দ্রে না যাওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি। সুদর্শন নামক মিডিয়া চ্যানেলও এই উদ্যোগে বড়ো অংশ নিয়েছে। সুদর্শন চ্যানেলের সম্পাদক সুরেশ চৌহানকে বলেছেন তারা দিল্লীতে বহু জায়গায় অনুষ্ঠান করছেন। অনেক স্থানে জনগণকে কট্টরপন্থীদের বয়কট করার জন্য অনুপ্রাণিত করা হচ্ছে।
বিশেষ করে উত্তর পূর্ব দিল্লীতে জনগণ শপথ নিচ্ছেন যে তারা আজীবনকাল কট্টরপন্থীদের বয়কট করবেন এবং আর্থিকভাবে দাঙ্গাবাজদের কোমর ভাঙবেন। প্রসঙ্গত জানিয়ে দি, দিল্লীর হিংসায় প্রায় ৪০ জনের প্রাণহানি হয়েছে। IB অফিসার অঙ্কিত শর্মাকে তাহির হোসেনের গ্যাং যেভাবে হত্যা করেছে তা পুরো দেশবাসীকে কাঁপিয়ে তুলেছে। এমনকি পোস্টমর্টেম করা চিকিৎসকরাও পর্যন্ত এমন হত্যা দেখে কেঁপে উঠেছেন। দিল্লীতে আতঙ্কবাদীদের মতো করে এমন উপদ্রবের বিরুদ্ধে আর্থিক বহিষ্কার যে ছোট্টো একটা সক্রিয় পদক্ষেপ তা বলা বাহুল্য।
from India Rag https://ift.tt/3887Oa8
Comments
Post a Comment