ঋণের ফাঁদে ফেঁসে গেল পাকিস্থান ! বন্ধুত্ত্বের নামে পাকিস্তানকে লুটে নিলো চীন ?
কিছুমাস আগে ইসলামিক দেশ পাকিস্তানে লোকসভা নির্বাচন হয়েছে। সেই ভোটে জয়লাভ করে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদে বসেছে ইমরান খান। ইমরান খান প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসার পরই পাকিস্তানবাসীকে উন্নয়নের কথা বলেন। তিনি এও বলেন যে, চিনা মডেলে উন্নতি করবেন পাকিস্তানের। কিন্তু এখন এমন এক পরিস্থিতি সৃস্টি হয়েছে যে, যে চিন কে তারা বন্ধু ভাবত সেই চিনের বিরুদ্ধেই এখন বেঁকে বসেছেন ইমরানের মন্ত্রী সভার সদস্যরা।
তৎকালীন পাকিস্থানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ ২০১৩ সালে চিন সফরে গিয়ে চিনের সাথে পাকিস্তানের বন্ধুত্বকে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেছিলেন যে আমাদের সাথে চিনের সম্পর্ক হল হিমালয় পর্বতের মত মজবুত। চিন এবং পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ককে মজবুত স্থিতি দিতে চিনের প্রেসিডেন্ট জিনপিং ২০১৫ সালে পাকিস্তান গিয়ে চিনের প্রজেক্ট ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ এ পাকিস্তান কে অংশিদার করতে চেয়েছিল। এই প্রজেক্টের মাধ্যমে চিন এশিয়া এবং ইউরোপে রাস্তা তৈরী করবে। তাই পাকিস্তান কেউ তারা চিনের সাথে নিয়েছিল আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে
জায়গা করে দিতে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে পাকিস্তানের অর্থননীতির ফাটল ধরার পিছনে দায়ী চিন এবং পাকিস্তানের বন্ধুত্ব। সেই প্রজেক্ট করতে গিয়েই এই মুহুত্তে পাকিস্তান জড়িয়ে পড়েছে বিপুল ঋণের দায়ে।
কিন্তু পাকিস্তান কেমন ভাবে জড়িয়ে পড়ল ঋণের দায়ে?
বিশেষজ্ঞদের মতে, চিন তাদের স্বপ্নের প্রকল্প ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ কে বাস্তবায়ন করার জন্য পাকিস্তান কে ফাঁদে ফেলেছে। নিজেদের শক্তি বাড়ানোর জন্য চিন এই প্রজেক্ট করছে। এর ফলে তারা তিন মহাদেশের সাথে খুব সহজেই যোগাযোগ করতে পারবে ফলে সামরিক দিক দিয়ে বেশ সুবিধাজনক জায়গায় থাকবে চিন। এই প্রকল্প সম্পূর্ণ হবার পর সমস্ত সুবিধা ভোগ করবে চিন। কিন্তু পাকিস্তান এই প্রকল্পের জন্য চিনের কাছে ধার নিয়েছেন অনেক টাকা এবং সেই সমস্ত টাকা তারা রাস্তার তৈরীর জন্য বিভিন্ন চিনা সংস্থাকে দিচ্ছে। চিনা প্রযুক্তি ব্যাবহার করা হচ্ছে এই প্রকল্পে আবার যেসমস্ত শ্রমিক কাজ করছেন তারাও হল চিনা শ্রমিক। অর্থাৎ চিনের টাকা আবার ফিরে যাচ্ছে চিনেই। উল্টে পাকিস্তান জড়িয়ে পড়ছে চিনে পরিকল্পিত এক ফাঁদ ঋণের জালে। সবচেয়ে অবাক করা ব্যাপার হল ভবিষ্যৎ এ পাকিস্তান যেসমস্ত প্রযুক্তি ব্যবহার করে অর্থের সংস্থান করতে পারবে সেই সমস্ত তথ্য পাকিস্তানের থেকে গোপন করছে চিনা সংস্থা গুলি। অর্থাৎ পাকিস্তান এর থেকে বিন্দুমাত্র সুবিধা পাবে না।
এশিয়া টাইমস-এর একটি রিপোর্টে প্রকাশ হয়েছে যে, এই প্রজেক্টের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কিনতে গিয়েই পাকিস্তানের অর্থ ভাণ্ডার প্রায় খালি হয়ে গিয়েছে। এখন পাকিস্তানের যে পরিমান ঋণ রয়েছে সেই পরিমাণ অর্থ তাদের সরকারি ব্যাংকেও নেই। অর্থাৎ একদম ভেস্তে গিয়েছে পাকিস্তানের অর্থনীতি। এর ফলে ইমরানের মন্ত্রী সভার মন্ত্রীদের মধ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে।
এই ব্যাপক অর্থ সংকটের কারনে শেষ অবদি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কে ভিক্ষার থলি নিয়ে যেতে হবে আন্তর্জাতিক অর্থভান্ডারে। যে ইমরান খান বলেছিলেন যে ক্ষমতায় এলে পাকিস্তান কে উন্নতির দিশা দেখাবেন, অর্থের অভাব হতে দেবেন না কোনো দিন সেই ইমরান খান এখন ভিক্ষুকে পরিণত হয়েছে। কিন্তু পাকিস্তান যদি আন্তর্জাতিক অর্থভান্ডারে ঋনের জন্য যায় সেখানেও তাদের পড়তে হবে নানা বাধার মুখে। কারন পাকিস্তান তাদের আগেকার অনেক ঋণ এখন শোধ করে উঠতে পারেন নি।
তাই এখন একটি কথায় উঠে আসছে যে চিনের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে এই মুহুত্তে পাকিস্তানের অর্থনীতি শেষ হয়ে গিয়েছে। চিন নিজেদের স্বার্থের জন্য পাকিস্তানের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল এখন সেটা হয়ে যাওয়ায় পাকিস্তান কে একেবারে ভিখারি করে ছেড়ে দিয়েছে চিন।
পাঠকদের জন্য প্রশ্নঃ চীন ও পাকিস্তানের বন্ধুত্বের ব্যাপারে আপনাদের প্রতিক্রিয়া কি?
#অগ্নিপুত্র
from India Rag : Bengali News, 24 Ghanta, Bangla News, Ebela, Eisamay, Kolkata News, খবর , https://ift.tt/2Q0NrDu
Comments
Post a Comment